প্রাথমিক শিক্ষায় আসছে বড় নিয়োগ, থাকছে না পোষ্য ও নারী কোটা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে বড় পরিসরে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নতুন শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা চূড়ান্ত হওয়ার পর আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে। এবারের প্রস্তাবিত নিয়োগে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে অধিকাংশ পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

কোটা পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন
২০১৯ সালের নিয়োগ বিধিমালায় যেখানে ৬০ শতাংশ নারী কোটা, ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা এবং ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা ছিল, নতুন ২০২৫ সালের বিধিমালায় এসব কোটার কোনো ব্যবস্থাই থাকছে না। পরিবর্তে ৯৩ শতাংশ পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। বাকি ৭ শতাংশ থাকবে সংরক্ষিত, যার মধ্যে ৫ শতাংশ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবার, ১ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী এবং ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারিত থাকবে।

শূন্যপদের সংখ্যা
বর্তমানে সহকারী শিক্ষক পদে ৮,০৪৩টি শূন্যপদ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় এই সংখ্যা ১০ থেকে ১২ হাজারে পৌঁছাতে পারে। পাশাপাশি সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের জন্য অতিরিক্ত ৫,১৬৬ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। আরও প্রায় ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদোন্নতির ফলে নতুন করে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

বিশেষ অগ্রাধিকার
যদিও কোটা বাতিল করা হচ্ছে, তবুও বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের জন্য ২০ শতাংশ অগ্রাধিকার থাকবে। এটি মূলত প্রাথমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে নেওয়া পদক্ষেপ।

নতুন পদের ধরন ও কাঠামো
সারা দেশে প্রায় ২,৫৮৩টি ক্লাস্টারে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রতি ক্লাস্টারের জন্য একজন করে সংগীত ও একজন শারীরিক শিক্ষকের পদ থাকবে। সেই অনুযায়ী সংগীত ও শারীরিক শিক্ষায় ২,৫৮৩ জন করে মোট ৫,১৬৬ শিক্ষক নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

বিধিমালার বর্তমান অবস্থা
নতুন বিধিমালাটি বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অনুমোদনের পর এটি অর্থ মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং সরকারি কর্ম কমিশনে পাঠানো হবে মতামতের জন্য। প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পরপরই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তুতি নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।