২৫ মিনিটের অভিযান: নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে প্রযুক্তিনির্ভর হামলা

পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর নারী কর্মকর্তা কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। তাঁরা জানান, ২৫ মিনিটে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে।
তাঁরা বলেন, হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল জইশ, লস্কর-ই-তইয়্যেবা ও হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটি, যেগুলো নিয়ন্ত্রণরেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তের ওপারে অবস্থিত। ভাওয়ালপুর, শিয়ালকোট, কোটলি ও মুরিদকসহ কয়েকটি এলাকায় হামলা চালানো হয়। বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়, লাহোরের উপকণ্ঠে মারকাজ তৈয়্যেবা কেন্দ্রেও হামলা হয়েছে, যেখান থেকে ২৬/১১ মুম্বাই হামলার হামলাকারীরা প্রশিক্ষণ নিয়েছিল।
হামলার উদ্দেশ্য: কাশ্মীর পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করা রোধ
বিক্রম মিশ্রি বলেন, এই অভিযানের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মীরের পরিস্থিতি ঘোলাটে করার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করা। পেহেলগামের হামলা শুধুমাত্র একটি নিরাপত্তা হুমকি ছিল না, বরং এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, টিআরএফ (The Resistance Front) নামের একটি সংগঠন পেহেলগামের হামলার দায় স্বীকার করেছে, যা আসলে জাতিসংঘ-নিষিদ্ধ লস্কর-ই-তইয়্যেবার একটি ছদ্মনাম। ভারত জাতিসংঘে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে।