গুলশান হোমিও ফার্মেসি তে ডেঙ্গু জ্বরের কার্যকরী চিকিৎসা করা হয়। সরাসরি ডাঃ এর সাথে কথা বলতে ফোন করুন- 01732-172837

বিএফআইইউ-এর ওয়েবসাইটে এখনও পুরনো সরকারের ছায়া: প্রশ্নে উঠছে নিরপেক্ষতা - BD Views 24

বিএফআইইউ-এর ওয়েবসাইটে এখনও পুরনো সরকারের ছায়া: প্রশ্নে উঠছে নিরপেক্ষতা

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)-এর ওয়েবসাইটে এখনও দৃশ্যমান রয়েছে পতিত সরকারের প্রধান ও সাবেক শীর্ষ ব্যক্তিদের বাণী। জুলাই বিপ্লবের পর প্রায় আট মাস পেরিয়ে গেলেও এই পরিবর্তন না আসা অনেককেই বিস্মিত করেছে। ওয়েবসাইটে এখনো রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল এবং সাবেক গভর্নর ফজলে কবিরের বক্তব্য—যাদের বিরুদ্ধে রয়েছে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ।

মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে গঠিত সংস্থাটি বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে কাজ করে এবং এর প্রধান লক্ষ্য হলো দেশের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তবে অতীত সরকার আমলে এ সংস্থার কার্যকারিতা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। অভিযোগ রয়েছে, তখন হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হলেও বিএফআইইউ কোনো কার্যকর ভূমিকা নেয়নি।

সরকার পরিবর্তনের পর সংস্থাটিকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিতর্কিত কর্মকর্তাদের অপসারণ, প্রশাসনিক সংস্কার এবং দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ—সবই এই প্রক্রিয়ার অংশ। সাবেক প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস, যিনি ‘ক্ষমতাসীনদের ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন, তাকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলাও দায়ের করেছে।

সংস্থাটি বর্তমানে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে বিদেশি সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তা চাচ্ছে। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

তবে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—যেখানে সংস্থাটি হাজার হাজার কোটি টাকার বিদেশে পাচার নিয়ে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে, সেখানে তারা কেন এখনো ওয়েবসাইট থেকে সাবেক সরকার সংশ্লিষ্ট বিতর্কিত ব্যক্তিদের বাণী ও বার্তা মুছে ফেলেনি? বিষয়টি স্ববিরোধী বলে মনে করছেন অনেকে। কেউ কেউ এটিকে ব্যঙ্গ করে বলছেন, “বিএফআইইউ-এর ভিতরেই কি তাহলে আওয়ামী ভূত বাস করছে?”

এই প্রশ্ন আরও জোরালো হয়েছে যখন দেখা যাচ্ছে, এই একই সংস্থাই অভিযোগ করছে, গত ১৫ বছরে রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করেছে, আর এখন সেই অর্থ ফেরত আনার দায়িত্ব তাদেরই। কিন্তু ওয়েবসাইটে এখনো পুরনো শাসকদের প্রশংসাবাণী থাকা, প্রতিষ্ঠানটির নিরপেক্ষতা ও সদিচ্ছা নিয়েই সংশয় তৈরি করছে।

Related Articles