এনআইডি সংশোধনে দ্রুততা আনতে ইসির ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সারা দেশে একযোগে একটি বিশেষ কার্যক্রম চালু করেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’। এই উদ্যোগের লক্ষ্য—বিলম্বিত আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করে নাগরিক ভোগান্তি হ্রাস করা।
ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, সংশোধনের আবেদন যেগুলো ‘গ’ ক্যাটাগরির অন্তর্গত, সেগুলো এতদিন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা নিষ্পত্তি করতেন। এখন থেকে দেশের ৬৪ জেলার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারাও এ ক্ষমতা পেয়েছেন, যাতে প্রক্রিয়াটি আরও দ্রুত হয়।
বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে সংশোধনের আবেদন বেশি হওয়ায়, সেখানে অতিরিক্ত জনবলও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট জেলা কর্মকর্তাদের সহায়তায় থাকবেন।
এছাড়া দেশের ১৯টি বড় জেলায় অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের ‘খ’ ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এসব আবেদন আগের তুলনায় এখন উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তারাও সমাধান করতে পারবেন—বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে।
সংশ্লিষ্টদের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা হলো ২০২৫ সালের ৩০ জুন। এর মধ্যে জমা পড়া সব অনিষ্পন্ন আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইসি কর্মকর্তারা জানান, কাজের অগ্রগতি মূল্যায়নের জন্য প্রতি ১৫ দিন অন্তর একটি প্রতিবেদন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালকের কাছে জমা দিতে হবে।
সূত্র জানিয়েছে, নাগরিকদের দীর্ঘদিন ধরে এনআইডি সংশোধন নিয়ে নানা হয়রানির অভিযোগ ছিল। এই ক্র্যাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে সেই সমস্যা কাটিয়ে আরও সুষ্ঠুভাবে সেবা পৌঁছে দেওয়াই মূল উদ্দেশ্য। দ্রুত আবেদন যাচাইয়ের জন্য সরল নথিপত্র যাচাইয়ের পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে সরেজমিন তদন্তও জোরদার করা হচ্ছে।
এই বিশেষ কর্মসূচির আওতায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতিদিন নির্ধারিত সময় পর্যন্ত কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আবেদন নিষ্পত্তি করা যায় এবং নাগরিকরা দ্রুত ও সুষ্ঠু সেবা পান।