গুলশান হোমিও ফার্মেসি তে ডেঙ্গু জ্বরের কার্যকরী চিকিৎসা করা হয়। সরাসরি ডাঃ এর সাথে কথা বলতে ফোন করুন- 01732-172837

**আটা-ময়দার বড়ি থেকে মৃত্যুঝুঁকি: নকল ওষুধে ভরে গেছে বাজার** - BD Views 24

**আটা-ময়দার বড়ি থেকে মৃত্যুঝুঁকি: নকল ওষুধে ভরে গেছে বাজার**

বাংলাদেশে আবারও ভয়াবহ রূপে ফিরে এসেছে নকল ও ভেজাল ওষুধের কারবার। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নজরদারির ঘাটতিতে গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ছে এসব বিপজ্জনক ওষুধ। অনেকে এখন এ সমস্যাকে “নীরব মৃত্যু-কারখানা” বলে আখ্যায়িত করছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিকিৎসকদের কাছে জনপ্রিয় কিছু ওষুধ যেমন অ্যালবুমিন ইনজেকশন, তা এখন নকল ও ভেজালের দখলে। খালি চোখে আসল-নকল চেনা অসম্ভব। ডা. চঞ্চল কুমার ঘোষ বলছেন, এতটাই ভয়াবহ অবস্থা যে এখন তারা এ ইনজেকশন ব্যবহারে বিরত থাকছেন।

একাধিক গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে, শুধু রাজধানীতেই অন্তত ১০% ওষুধ নকল বা নিম্নমানের। ঢাকার বাইরের পরিস্থিতি আরও শোচনীয়। গবেষকরা এমনকি এমনও পেয়েছেন যে কিছু ট্যাবলেটে আটা-ময়দা কিংবা সুজি ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০২৪ সালের মার্চে গোয়েন্দা পুলিশ এক অভিযানে এই ধরনের প্রায় পাঁচ লাখ নকল অ্যান্টিবায়োটিক উদ্ধার করেছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি নকল হচ্ছে গ্যাস্ট্রিক ও অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ। যেহেতু এগুলোর চাহিদা অনেক, তাই অপরাধীরা এ দিকেই ঝুঁকছে।

এমন পরিস্থিতিতে ভোক্তারা যেমন প্রতারিত হচ্ছেন, তেমনি কিছু ক্ষেত্রে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। চিকিৎসক ডা. শাহনূর শরমিন বলছেন, নকল ওষুধ কখনোই সঠিকভাবে কাজ করে না, আবার অনেক সময় এসব রাসায়নিক উপাদান দীর্ঘমেয়াদে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে।

আইন থাকলেও শাস্তি কার্যকর না হওয়ায় অপরাধীরা বারবার একই কাজ করছে। ২০২৩ সালের ‘ওষুধ ও কসমেটিক আইন’ অনুযায়ী যাবজ্জীবনের বিধান থাকলেও এখন পর্যন্ত কেউ এই সাজা পাননি। আইন আছে, প্রয়োগ নেই—এই দ্বৈত অবস্থাই এই সংকটকে দীর্ঘ করছে।

Related Articles